07
Aug

বর্তমানে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই ব্যবসাবাণিজ্যের অংশগ্রহণের যে সাম্যাবস্থা বিরাজ করছে তা কি একদিনে এসেছে? বেশি দিন নয়, ১ যুগ আগেও একটি সরকারি কাজে দরপত্র জমা দিতে বা সামান্য ট্রেড লাইসেন্স করতে গিয়ে যে পরিমাণ ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি প্রভৃতি সমস্যা সহ্য করতে হতো, আজকে কোনো ব্যবসায়ীকে সেসব সমস্যার কিয়দংশও কি সম্মুখীন হতে হয়? এই প্রশ্নগুলো কেউ সাধারণত করে না। বিশেষ করে আজকের তথাকথিত সুশীল সমাজ এ ব্যাপারে অদ্ভুতভাবে একপেশে, ক্ষেত্রবিশেষে এক চোখ বন্ধও করে রাখে। সরকারি কোনো প্রকল্পে বিন্দুমাত্র ত্রম্নটি বিচু্যতির খবর পেলেই যেভাবে সরকারের সমালোচনা করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে তা শুধু দৃষ্টিকটুই নয়, বরঞ্চ সন্দেহজনকও বটে। অথচ বাস্তবতা ও যৌক্তিক পরিসংখ্যানের নিরিখে সরকারের সমালোচনা না করে বিদ্বেষমূলক বিষোদ্গার করাটাই আজকাল কিছু বিশিষ্ট গবেষকদের আসল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের যে কোনো আংশিক বা প্রত্যাশাতীত সাফল্য স্বীকার করে নিতে তারা যেন বিশেষভাবে কুণ্ঠাবোধ করেন। চলুন আজ অন্তত অতীত পরিস্থিতির আলোকে বর্তমান অবস্থার একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা যাক।

প্রথমেই টেন্ডার দিয়ে শুরু করা যাক। টেন্ডার নিয়ে কথা বলতে গেলেই টেন্ডারবাজি শব্দটি আপনা আপনি চলে আসে। টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্যের খবর আগে পত্রপত্রিকায় নিত্তনৈমিত্তিক ঘটনা ছিল। টেন্ডার দিতে বাধা প্রদান, টেন্ডার বাক্স ছিনতাইসহ খুনোখুনির ঘটনাও ঘটতো টেন্ডার নিয়ে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কবল থেকে সরকারি খাতের এই বিশাল কর্মযজ্ঞকে মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২ জুন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইমপিস্নমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএমই) বিভাগের অধীনে ই-টেন্ডার ব্যবস্থা তথা ই-জিপি চালু করেন, যার বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। ই-জিপি’র ফলে সব পাবলিক প্রকিউরিং এজেন্সি ও পাবলিক প্রকিউরিং এন্টিটিগুলো একটি নির্দিষ্ট অনলাইন পস্ন্যাটফর্মে সরকারি টেন্ডারের সব কার্যক্রম সম্পাদন করার সুযোগ পায়। যেহেতু এই ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ অনলাইনে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্বারা মনিটর করা হয়ে থাকে, তাই ঘুষ বা দুর্নীতির সুযোগ নেই বললেই চলে।

এখানে আরো উলেস্নখ্য যে, সরকার শুধু সিস্টেম চালু করেই বসে থাকেনি, এর নিরবচ্ছিন্ন পরিচালনা ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দিকেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনার জন্য সিপিটিইউ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার। বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেমে মোট নিবন্ধিত দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৮ হাজার ২৪০, যার মধ্যে ৩৩টি আন্তর্জাতিক দরদাতাও নিবন্ধিত আছে। এছাড়াও ই-জিপিতে ১২টি আন্তর্জাতিক সংগঠনও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে নিবন্ধিত আছে। ৪৮টি নিবন্ধিত ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে দেশব্যাপী ই-জিপি পেমেন্ট অনলাইন ও অফলাইন দু’ভাবেই নেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সরকার যথাসম্ভব নিখুঁতভাবে এমন একটি ডিজিটাল প্রকিউরমেন্ট পস্ন্যাটফরম তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে যার সুফল ভবিষ্যৎ প্রজন্মও ভোগ করতে পারবে।

বর্তমানে সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোর পাবলিক প্রকিউরিংয়ের প্রক্রিয়াগুলি যেমন: কাজের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা এবং জমা দেওয়া, মাইলফলক নির্ধারণ, প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ, প্রতিবেদন তৈরি করা, কাজের মান নিয়ন্ত্রণ করা, বিল তৈরি করা, ভেন্ডর রেটিং এবং প্রকল্প সমাপ্তির প্রশংসাপত্র প্রদান ইত্যাদি সবই এখন ই-জিপি’র মাধ্যমেই করা সম্ভব। আগে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রেগুলেশন অনুযায়ী সরকারি ক্রয়াদেশ ও দরপত্রে অংশগ্রহণের জন্য কিছু অসাধু সরকারি কর্মচারী তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য পরিচিত প্রাইভেট কন্ট্রাক্টরদের দিয়ে ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডের মাধ্যমে কাজ বাগিয়ে নিত। কিন্তুপ্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ই-জিপি’র মাধ্যমে ডাইরেক্ট প্রকিউরমেন্ট পদ্ধতিকে সীমিত করে ওপেন টেন্ডারিং মেথড, লিমিটেড টেন্ডারিং মেথড ইত্যাদি যুগোপযোগী পদ্ধতির সুষ্ঠু প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোনো মন্ত্রণালয়ের কাজে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একবারের বেশি কোনোভাবেই চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না। এতে একদিকে যেমন সরকারি প্রকল্পগুলো সুদক্ষভাবে ও সঠিক সময়েই সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছে, সেই সঙ্গে সরকারি প্রকল্পগুলোর কন্ট্রাক্টরদের একই মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরে বারবার টেন্ডার পাওয়ার সুযোগ নিয়ে সিন্ডিকেট গঠনের সম্ভাবনাও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।

বর্তমানে ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পূর্ত ক্রয় কার্যক্রম ই-জিপি সিস্টেমে করা হচ্ছে। ফলে দরদাতাকে এখন আর অফিসে ধর্ণা দিতে হয় না। টেন্ডার ছিনতাই বা পাহারা বসানোর বিষয়ও নেই। এ সব কাজ দ্রম্নত এগিয়ে যাওয়ায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৬০৩টি টেন্ডার ই-জিপিতে আহ্বান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৬৯টি চুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ৬৫ হাজার ৯৫০টি টেন্ডারের চুক্তি প্রক্রিয়াধীন আছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাতের ব্যবসার প্রতিযোগিতাও বেড়েছে। টেন্ডার ও সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ই-জিপি সিস্টেমে দরদাতাদের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার থেকে ২০১৫ সালে প্রকাশিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইকনোমিকস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্স বিভাগের তৎকালীন সহকারী অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ আবদুলস্নাহ তার ‘ইফেক্ট অব ইলেকট্রনিক পাবলিক প্রকিউরমেন্ট : এভিডেন্স ফ্রম বাংলাদেশ’ শীর্ষক গবেষণাপত্রে উলেস্নখ করেন যে, ই-জিপি প্রয়োগের ফলে গতানুগতিক টেন্ডার ব্যবস্থার তুলনায় দরপত্রের চুক্তিমূল্য ও প্রাক্কলিত খরচের আনুপাতিক হার ১০.২৫% থেকে ১১.৮৫% পর্যন্ত কম হয়। অর্থাৎ তৎকালীন মুদ্রামান অনুসারে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রাইভেট সেক্টরে নতুন ব্যবসার উদ্যোগ শুরু করার দিকেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। আজ থেকে ১২/১৩ বছর আগেও বিভিন্ন দায়িত্বশীল স্থানীয় সরকার যেমন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নতুন কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া কিংবা নবায়ন করার জন্য নানামুখী হয়রানির শিকার হওয়া লাগত, এসব প্রতিষ্ঠানে এক শ্রেণির দালালদের দৌরাত্ম্য ছিল ভয়াবহ, যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রেড লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে, প্রায় প্রতিটি স্থানীয় সরকার অফিসেই এসব দালালদের শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট ছিল, এসব সিন্ডিকেটের বাইরে গিয়ে কেঊ ট্রেড লাইসেন্স এর কাজ করাতে চাইলে হুমকি দামকিসহ নানামুখী ভোগান্তির শিকার হতো ব্যবসায়ীরা। এসব সমস্যা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এক্সেস টু ইনফর্মেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় ২০১৭ সালে ই-ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়া চালু করা হয়। ফলে যে কেউ এখন ঘরে বসেই যে কোনো সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিশদের অধীনে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারে। আগে সামান্য ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হওয়া লাগতো এবং যত জায়গায় ঘুষ দেওয়া লাগতো তার কোনোটাই এখন আর হয় না। উদাহরণ স্বরূপ আগে ২৫ হাজার টাকার আর্টিকেল অব মেমোরান্ডাম সংগ্রহ করতে যেখানে ৮৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্তও লাগতো, আজ সেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্যেই অতিরিক্ত কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই ট্রেড লাইসেন্স, আর্টিকেল অব মেমোরান্ডাম, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, ট্যাক্স ফাইল সবই সংগ্রহ করা যায় অনায়াসেই।

আগে যেখানে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কাছে সম্পূর্ণ সেক্টরটি কুক্ষিগত ছিল, তারা চাইলেই সিন্ডিকেট করে যেভাবে খুশি সেভাবে মার্কেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত এখন আর তা সম্ভব না। ব্যবসায়ের এমন গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টিতে অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে সারাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধা। নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা থাকায় দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ফলশ্রম্নতিতে ই-কমার্স এখন ব্যবসায় নতুন ক্রেজ, এই সেক্টরে প্রতিনিয়ত মানুষের অংশগ্রহণ বেড়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, ২০০৮-০৯ সালে বাংলাদেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য যেখানে ছিল ৭৮ হাজার টাকা, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি এমবিপিএস মাত্র ৩০০ টাকা। এর ফলে সরকারসহ সর্বস্তরের জনগণ অতি সহজেই অনলাইনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে নিমিষেই। এখন ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) ও বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (বিআইএন), ভ্যাট সার্টিফিকেট, ব্যাংক ট্রানজেকশন ইত্যাদি সবই ঘরে বসে অনলাইনেই করা সম্ভব। এছাড়াও দ্রম্নতগতির ইন্টারনেট সুবিধার ফলে ইন্টারন্যশনাল ট্রেডিং, এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক কর্মকান্ড অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এমনকি আগে যেখানে ইম্পোর্ট করা পণ্য পোর্টে আসার পরও চুরি হয়ে যেত, পদে পদে ঘুষ না দিলে টার্মিনাল থেকে পণ্য খালাস করা যেত না- এখন সেখানে মোবাইলের মাধ্যমেই পণ্যের ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে রিলিজ লেটার, কাস্টমস সার্টিফিকেট সবই অতি সহজেই সংগ্রহ করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এক উদ্ধৃতিতে সমাজে চাকরির প্রতি প্রচলিত মোহকে পাশকাটিয়ে ব্যবসায় ক্ষেত্রে মেধা ও শ্রম দিয়ে দেশ ও দশের উন্নয়নের ব্যাপারেও বিশেষ জোর দেন। ২০১৮ সালে ‘পলিসি ক্যাফে উইথ সজীব ওয়াজেদ: রিডিফাইনিং এমপস্নয়মেন্ট’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন ‘হাত পেতে চাকরি নয়, নিজ পায়ে দাঁড়ান, নিজ উদ্যোগে কিছু করুন।’ তিনি আরো বলেন, ‘কর্মসংস্থান সম্পর্কে অতীতে চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের নতুন করে ভাবতে হবে। চাকরি করার জন্য নয়, বরং নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে অন্যের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।’

ব্যবসা ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পরিবেশ অর্থাৎ দেশে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাবাণিজ্যে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করে বর্তমান সরকারের অসামান্য সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে। ইন্টারনেটের ব্যাপক বিস্তৃতির ফলে রাজধানী থেকে শুরু করে মাঠপর্যায় পর্যন্ত ই-গভার্নেন্স প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ফলে বৈশ্বিক যোগাযোগ আরো সহজ হয়েছে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রেডিং ও ব্যবসায়ে বৈচিত্র্যও আসছে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে সরকারের দুরদর্শিতা ও সদিচ্ছার কারণে। ইলেক্ট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) চালু করে এবং এর সফল বাস্তবায়ন নিশ্চিত করে সরকার ব্যবসার ক্ষেত্রে যে সাম্যাবস্থা নিয়ে এসেছে তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ, নতুন নতুন ব্যবসার সুযোগ উন্মোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে নতুন নতুন ব্যবসায়ীর সৃষ্টি যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সব থেকে বড় তা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। সবশেষে একটি প্রশ্ন- ব্যবসাক্ষেত্রে দলমতনির্বিশেষে গণতান্ত্রিক সাম্যাবস্থা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার যে সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছে তার প্রাপ্য স্বীকৃতিটুকু দিলে কি খুব বেশি জাত যাবে?

শেখ মোহাম্মদ ফাউজুল মুবিন :সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

Leave A Comment